৬ নভেম্বর ২০১২
সকাল ১০টায় আম্মুর ডাকে ঘুম ভাঙল বিশেষের । কিন্তু ডাক কানের উপর বালিশ দিয়ে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করে বিশেষ । আবার ঘুমিয়ে পড়ল সে। কিছুক্ষণ পর আম্মু ঘরে এসে টেনে তুলে তাকে ।
"এই, উঠ । আর কত ঘুমাবি? কইটা বাজে জানিস?? সাড়ে দশটা বেজে গেছে। আজ কলেজ যাবি না? "
" হুম ,আম্মু । আর ৫ মিনিট ! "
" আর কোন ৫ মিনিট না। এখনই উঠ ।"
চোখ কচলে উঠেই বাথরুমে গেল সে । হাতমুখ ধুয়ে , কোনমতে রেডি হয়েই কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল সে । ইসস রে...... আজ অনেক দেরি হয়ে গেল। রাস্তায় যেতে যেতে হঠাৎ স্কুলের সেই মজার দিনগুলার কথা মনে আসলো তার। কি যে মজার দিন ছিল সেগুলা। আড্ডা , ফাঁকিবাজি , বন্ধুদের বার্থডে তে সারপ্রাইজ পার্টি, টিচারের সাথে দুষ্টামি......... ভাবতে ভাবতেই মন খারাপ হয়ে যায় তার...... কলেজ কোন কিছুই ভাল লাগে না। সবাই কেমন জানি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। বন্ধু আছে কিন্তু তাদের সাথে তেমন আন্তরিকতা নাই। আসলে সেও তেমন ভাবে কারো সাথে সেভাবে মিশতে পারে না। কথা কম বলে ,তাই হয়ত অন্যরাও তার সাথে তেমন আন্তরিক না। এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে কলেজের মেইন গেটের কাছে এসে পড়ল সে,জানেই না ।
১২ টা ১০ বেজে গেছে...অনেক দেরি হয়ে গেল আজ। অবশ্য আজ ইচ্ছা করে দেরি করে সে ৫ টা গেটের মাঝে যেই গেট তার বাড়ি থেকে সবচেয়ে দূরে সেই গেটে অর্থাৎ ৪নং গেট দিয়ে আজ সে যাচ্ছে। গাড়ি থেকে নামার পরই সিফাতের সাথে দেখা ।সিফাত স্কুলের ক্লাসমেট ছিল ,এখন সে একই কলেজে পড়ায় নিজেদের মাঝে খুব কাছের বন্ধু হয়ে গেছে।
তাকে দেখেই দৌরে এসে সিফাতের প্রস্ন "কিরে মামা? কি খবর? "
"এইতো দোস্ত ,আসি কোনোরকম ।তুই?? "
" ভাল না দোস্ত, রিলেসনের পেরায় আসি । কাল আবার জারিয়ার সাথে ব্রেক আপ হইসে । "
খবরটা শুনে বেশি অবাক হল না বিশেষ , কারন ওদের প্রেমটা হল ব্রেক আপ প্রেম, কতবার যে ব্রেক আপ হইসে তার ইয়ত্তা নেই। প্রতিবার ঝগড়ার সময় ১ থেকে ২ দিন ।বেশি হলে ৩ দিন । তাই আগের মতই হাটতে লাগল তারা । হঠাৎ গেটের সামনে পাশের কলেজের কিছু মেয়েকে দেখল তারা । চিৎকার করে রাস্তাটাকে অস্থির করে তুলেছে। প্রত্যেক পথচারীই ওদের দিকে তাকাচ্ছে । কারো চোখে বিস্ময় , কেউ বা বিরক্ত ,কেউ মজা নিয়ে । বিশেষ ওইদিকে তাকিয়ে হঠাৎ চমকে উঠল ।এত সুন্দর মেয়ে যে বাস্তব জীবনে পাওয়া যায় এটা তার কল্পনায়ও ছিল না। মেয়েটার চেহারায় আজব এক স্নিগ্ধতা !! তাকালে মনে আজব এক প্রশান্তি লাগে! মেয়েটার চোখ অদ্ভুত রকম সুন্দর। মনে হয় না ,ক্লিওপেত্রার চোখও এত সুন্দর ছিল। আজব এক সম্মোহনী যেন গ্রাস করল বিশেষ কে । থেমে দাড়ায় সে । সিফাতকে বলতে চায় সব, কিন্তু কলেজে দেরি হয়ে যাচ্ছে তাই সিফাত তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায়। কিছুদুর যাওয়ার পর বিশেষ তার মাঝে ফিরে আসে ।
" ধুর,হাত ছাড় !! "
"কেন? কি হইসে মামা? "
"ওই মেয়েটাকে দেখসিস?? "
"কোনটা মামা?? "
"ঐযে গেটের সামনে ছিল "
"গেটের সামনে তো অনেকেই ছিল । কেন? প্রেমে টেমে পরসস নাকি? "
"মজা নিস না, এটা মজা নেয়ার টাইম না । ওই মেয়েটার সম্পর্কে জানতে হইব । "
"তুই তো নাম ও জানোস না,কেমনে খবর নিবি? তখন বললে তাও সামনা সামনি কথা বলে সুযোগ নিতাম। "
"তুই বলতে দিলি কই? এখন চল আবার ৪নং এ যাই। "
'আবার যাবি?? যদি না থাকে?"
"না থাকলে নাই। একদিন কলেজ না গেলে কিছু হবে না,কিন্তু হয়ত আজ না গেলে হয়ত আর কক্ষনও আর দেখা পাব না! "
" ওরে আমার দেবদাস রে ! দেখি কেমন ভাবি ঠিক করলি ?। "
মোটামুটি দৌড়ে ৪নং গেটে গেল তারা । কিন্তু সিফাতের সন্দেহই ঠিক ছিল । কেউ নাই ! ধুর......... তখন যদি কলেজ না গিয়ে কথা বলত,হয়ত ঘটনা অন্যরকম হত । বিশেষের মনটাই খারাপ হয়ে গেল ।আর ক্লাসই করল না সে। সরাসরি বাসার দিকে রওয়ানা দিল!!
১৪ নভেম্বর ২০১২
ক্লাসরুমের বাইরের বেঞ্চটায় বসে রেলিংয়ে হাত দিয়ে বসে আছে বিশেষ । ৩ মিনিটে কেউকে যে এতটা ভাল লাগতে পারে সে নিজেও জানত না । সে নিজে কক্ষনও লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইটে বিলিভ করত না, এখন সেও কি?? না না...... ধুর! এসব সে কি ভাবছে। মেয়েটাকে তো সে এখন ও ভাল মত চিনেও না । এটাও জানে না ,ফার্স্ট না সেকেন্ড ইয়ার ?ভালবাসা না, এটা শুধু ক্ষণিকের ভালোলাগা! তবুও.........মেয়েটাকে ভুলে যাওয়াই ভাল । হঠাৎ সিফাত এসে ঠাশ করে পিঠে চড় দিল। ভাবনার জগত থেকে ধপাস করে বাস্তব জগতে ফিরে আসলো সে ।
"কিরে দেবদাস? পারুর সপ্নে বিভোর? "
"আজাইরা মজা নিবি না! "
" মজা কই নিলাম ? সত্যি কইরা বল তুই ওই মাইয়ার কথা ভাবতেসিলি না? "
বিশেষ চুপ করে থাকে ।
"হাহা মামা, বুঝি বুঝি । যাই হোক,তুই প্রথম দেখায় এত পাগল হইয়া গেলি ঘটনাটা বুঝলাম না! ? "
"দোস্ত , প্রত্যেক ছেলেরই একটা স্বপ্নকন্যা থাকে ।জীবনে মাঝে মাঝে তাদের সাথে দেখা হয় । খুব সল্প সময় । যারা বুদ্ধিমান ওরা বুঝতে পারে ,এবং সেই সময়টুকু কাজে লাগায় । আর যারা আমার মত গাধা ,ওরা খালি এরকম কারন ছাড়া সুযোগ হারায় । আমার স্বপ্ন কন্যাকে আমি কাছে পেয়েও হারালাম ।"
"দোস্ত ,মন খারাপ করিস না । তোর জন্য সুখবর । জারিয়ার ফ্রেন্ড আসে না, রিদিতা? তোরে লাইক করে । ওই মাইয়ারে ভুইলা যা। রিদির সাথে প্রেম কর ।"
"কুত্তা ,আমি কি এখানে কুরবানির গরু কিনতে আইসি?? যে একটা পছন্দ হইল , দরদামে মিলল না,তাই আরেকটা কিনতে যামু? আমি এই সময়ের ছেলে হইলেও এই সব ব্যাপারে অনেক ব্যাকডেটড। লাইফে একজনই আসবে , যাকে সব দিমু । তোর মত চৌদ্দ ঘাঠের জল খাওয়ার ইচ্ছা আমার নাই । এখন যা এইখান থেকে, আমাকে একা থাকতে দে ।"
" দোস্ত, রাগিস না! দুষ্টামি করসি । ইনশাআল্লাহ ওই মেয়েরে বের করমু । এখন তোর সুন্দর থোবড়ার একটা ৩২দাত আলা হাসি দে ।'
সিফাতের কথা শুনে দুইজনই হেসে দিল। তখনি ক্লাসের বেল বেজে উঠল । তাই দুইজনই ক্লাসে ঢুকে গেলো ।
২২ নভেম্বর ২০১২
প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেসে ।বিশেষের তার নিয়তি মেনে নিয়ে ওইটাকে একটা সুন্দর স্বপ্ন ভাবা ছাড়া তার কিছুই করার নাই। অনেকদিন ধরে কোন গল্প লেখা হয় না ,তার আগের গল্পগুলা অনেক সমাদৃত ছিল। তাই সবাই চাপ দিচ্ছে নতুন গল্পের জন্য । নতুন গল্প লেখার আগে সে কিছুক্ষনের জন্য ফেসবুক লগ ইন করল । অনেকে নক করল , কিন্তু চ্যাট করতে একটুও মন চাচ্ছে ।তাই কেউকে রিপ্লাই না দিয়ে , টার্ন অফ চ্যাট করে, হোম পেজ ফীডগুলা স্ক্রল করতে থাকে। হঠাৎ একটা পিক দেখে চিৎকার করে উঠে সে । বিশেষের দুইটা ফেবুর মেয়ে ফ্রেন্ডের সাথে তার সেই স্বপ্নকন্যা । চশমা চোখে , স্নিগ্ধ এক হাসি !! বিশেষ জলদি করে পিকে ঢুকে ট্যাগ গুলা দেখল । ......... বুশরাহ আহমেদ ...... নামেও কি অদ্ভুত মিল তাদের । বিশ ও বুশ.........হয়ত ভাগ্যদেবতার আজব কাজ ,অথবা কাকতালীয় ঘটনা । এত কিছু ভাবার এখন সময় নেই! কাপা কাপা হাতে সে ক্লিক করল আইডিতে । কালক্ষেপণ না করে সাথে সাথে রিকুয়েস্ট পাঠাল। এখন শুধু অপেক্ষার পালা ।
২৪ নভেম্বর ২০১২
২দিন হয়ে গেসে , কিন্তু এখনো অ্যাড দিল না ।কি জানি? হয়তবা ফেবুতে বসে নাই । আইডি সেভ করা আছে ফেভারেটে ,একটু ঢুকে দেখি তো !! একি?? নতুন প্রোফাইল পিক! তারমানে সে অ্যাড দেয়নাই । যার ভয় তাই হল , অচেনা মানুষকে অ্যাড দেয় না ।
২৯ নভেম্বর ২০১২
কিছু করা লাগবে! এইভাবে আর না! কারো হেল্প দরকার । কাকে বলা যায় নিজের সব কথা খুলে??হা, রাত্রি ।বিশেষের বোন ,ওর সাথে সব বলা যায়! বিশেষ ওর রুমে গিয়ে উঠে ।
"কিরে বিশু? কিছু বলবি?"
"ছোটদিদি একটা সমস্যাতে আসি । "
"কি সমস্যা? টাকা লাগবে? বল,কত টাকা?কি করবি??
"ধুর......আগে পুরা কথা শুনো, আমি অন্য কিছু বলতে আসছি? "
" অন্যকিছু মানে? মেয়ে নিয়ে কিছু , রাইট?? "
"তুমি কেমনে বুঝলা?? " বিশেষ হতভম্ব ।
"আমি তোরে ছোট থেকে বড় হতে দেখলাম , আর আমি বুঝব না। আমি তোরে arthery and veins i mean রগে রগে চিনি। ""
"ডায়ালগ পরে মার ,এখন শুন । "
সব ঘটনা রাত্রিকে খুলে বলল সে।
"এইটুকু ব্যাপার। আরে ......... তোর যেই ফ্রেন্ডদের সাথে ওর পিক দেখসিস ,ওদের পটা । এরপর ওদের সাহায্য নিয়ে কাজ কর । "
কথাটা মনে ধরল বিশেষের । যেই দুইটা মেয়ের সাথে ওর ছবি ছিল এর মাঝে একজন হিন্দু ,একজন মুসলিম। বিশেষ ভাবল যেহেতু হিন্দু মেয়েটার সাথেই ফ্রেন্ডশিপ করে ওর হেল্প নিবে,এতে কোন গুজব ছড়াবে না, কেউ সন্দেহ করবে না এবং ওর কাজও হয়ে যাবে।
১৪ ডিসেম্বর ২০১২
হিন্দু মেয়েটা অর্থাৎ অর্চনার সাথে বিশেষের কঠিন বন্ধুত্ব হয়ে গেলো ।ধিরে ধিরে বিশেষ ওকে বুশরাহ সম্পর্কে সব বলল। অর্চনাও ওকে হেল্প করার সাহায্য করবে বলে ওয়াদা করল । সে বুশরাহকে সব খুলে বলল ।
" দোস্ত আমার এক ফ্রেন্ড তোকে ফেবুতে অ্যাড দিতে চায়। তুই কি ওকে অ্যাড দিবি? "
" সরি রে । আমি ফেবুতে অচেনা কেউকে অ্যাড দেই না । আমার বয়ফ্রেন্ড রেগে যায় । "
পুরা ঘটনা বিশেষকে খুলে বলে অর্চনা । THE ANSWER WAS UNEXPECTED TO HIM!! HE WAS JUST TOTALLY BROKEN DOWN.................
১২ জানুয়ারি ২০১৩
বিশেষের এসবের প্রভাব পড়াশোনায় পরতে লাগল ।সে অমনোযোগী হয়ে উঠল । তার কথাগুল বলতে একজনের প্রয়োজন । কিন্তু সে কেউকেই পাচ্ছেনা যাকে সব খুলে বলা যায়। একদিন রাত্রি তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে সে ফুপিয়ে কেদে উঠে। তার কান্না দেখে রাত্রি থতমত খেয়ে যায় ।পরে বিশেষের কাছে সব শুনে হেসে উঠে ।
"তুই একটা মেয়ের জন্য কাদতেসিস? হায়রে গাধা, আরেহ তুই তো জানতি না ওর প্রেমিক আছে। তাই তোর কোন দোষ নাই ।যাই হক,তুই যেহেতু ওকে ছাড়া থাকতে কষ্ট হইতেসে তাইলে ওর ফ্রেন্ড হয়ে থাক । তাছাড়া কেউকে লাভ করার আগে এইতা ভাববি না যে সেও তোরে লাভ করবে। যদি করে তাইলে বোনাস ,না করলেও ওর সাথে থাকবি। মেয়েরা অনেক ভালবাসার প্রপোসাল পায়,তাই বুঝে না কে রিয়াল ,কে ফেক? তুই লেগে থাক ,যদি তোর ভালবাসা সত্যি হয়, তাহলে সে অবশ্যই তোর জীবনে আসবে । খোদাই তার ব্যাবস্থা করবেন । "
শুনে বিশেষের মনে জমে থাকা কষ্টগুলা ধিরে ধিরে দূরে সরে গেলো। সে এইবার অর্চনার থেকে বুশরাহের নাম্বার নেয় ।এখন শুধু অপেক্ষা ১৪ ফেব্রুয়ারীর ।
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
ঠিক রাত ১২ টা বাজে। বুশরাহের ব্যাপারটা বিশেষের ফ্রেন্ড সার্কেল জেনে গিয়েছে, সব দোষ সিফাতের ।ওই সালা ফাজলামির ছলে সব বলে দিসে ।এতে অবশ্য একটা লাভ হইসে ।বিশেষের সব ফ্রেন্ড এখন ওকে নানা বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করে।। যেমন ঃ আজ রাতে ফোন দেয়ার আইডিয়াটা নিশাতের । সে বলল আজকে ফোন দিলে কিছু একটা হইত হইতে পারে।তাই বিশেষ ঠিক করল যে আজ রাতে ফোন দিবে। তাই বিশেষ কাপা কাপা হাতে মোবাইলটা হাতে নিল । অনেক গুলা নাম থেকে বুশরাহ নামে ফোন দিল। ভিতর ভিতর সে ভয়ে অস্থির । দুইবার রিং হওয়ার পর আশ্চর্য সুন্দর একটা কণ্ঠ ফোন ধরল।
"হ্যালো"
"হ্যালো,বুশরাহ? "
"হুম । বলছি । "
"Happy Valentines Day"
"আপনি কে? "
"আমার পরিচয় দিতে তো রাত শেষ হয়ে যাবে। "
"সরি , রং নাম্বার ।"
বলেই খুট করে ফোন রেখে দেয় সে । নিয়তি,আর কত পরিহাস?
১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
বিশেষ বুঝতে পারে অর্চনাকে দিয়ে কিছুই হবে না তাই সে নতুন কেউকে খুজে নিতে হবে যে বুশরাহের আরো কাছের । রুপকে করা যেতে পারে,কিন্তু ওরে করলে বুশরাহ ভাবতে পারে বিশেষ ওকে না ,রুপকে লাইক করে ।তাই রুপ না , প্রান্তিকা ,অর্থাৎ যেই মেয়েটা বুশরাহের আগে বসে পরিক্ষা দেয় ওরে পটাতে হবে । কেননা ওই মেয়েটা অনেক ফ্রেন্ডলি, তাই তার ফ্রেনড হতে টাইম লাগবে না। ১৮ ফেব্রুয়ারী বই মেলায় ফ্রেন্ড হ্যাংআউটে গেলো সে একমাত্র প্রান্তিকার সাথে দেখা করতে । এরপর ফেবু, ফোন দিয়ে ওর অনেক ক্লোজ হয়ে গেল।এইদিকে বুশরাহ কে সে নানা রকম মেসেজ পাঠায়।কিন্তু লাভ হচ্ছে না কিছুই। প্রান্তিকাও ব্যর্থ ।
১৬ অক্টোবর ২০১৩ (বিশেষের বার্থডে)
মাঝের অনেক দিন নানা কারনে বুশরাহকে তেমন রেগুলার মেসেজ দিতে পারত না বিশেষ ।আজ অনেক দিন পর সাহস করে ফোন দেয় । কিন্তু এবারো আগের মতই ঘটনা। অস্বীকার,অপমান,অপদস্ত। সাথে যুক্ত হয় বিএফ এর টিটকারি ।বিশেষ রাগেদুঃখে ফোন রেখে দেয়।
১১ নভেম্বর ২০১৩
আজ প্রথম বুশরাহ কে নিজের পরিচয় জানায় বিশেষ । ৮ম বারের মত অ্যাড দেয়ার আগে সে বলে নেয় বুশরাহকে যেন সে কনফার্ম করে। মানুষ বলে ৭ নাকি লাকি নাম্বার , কিন্তু বিশেষের ৮ নাম্বার হয়ত অনেক বেশি লাকি।এই প্রথম সে তাকে অ্যাড দেয়।
১৯ নভেম্বর ২০১৩
বিশেষ তাকে ১ বছরের সব খুলে বলে এবং ওর বিএফ এর কথা জিজ্ঞেস করে । জবাবে বুশরাহ জানায় যে ওর বিএফএর সাথে নাকি ব্রেক আপ হয়ে গেসে । শুনে বিশেষ অনেক খুশী হচ্ছিল ,কিন্তু বুশরাহ তাকে জানায় সে ধিরে ধিরে ফেরত আসছে । বিশেষের মন খারাপ হয় কিন্তু সে বুঝতে দেয় না।। এসব বুঝতে দেওয়ার সময় এখন তার নেই ।এখনও যে এক বছরের কথা জমে আছে । এসব বলে সময় নষ্ট করা যাবে না। এক বছরের প্রতিটি বিষয় তাকে জানাতে হবে। তার স্বপ্নকন্যা যে এখন তারই পাঁশে !! পৃথিবীতে এর থেকে মূল্যবান আর কিছুই নেই তার কাছে,সে পৃথিবীর সবচাইতে সুখী এখন । কেননা তার স্বপ্নকন্যা যে এখন তারই কাছে .........
পরিশেষ ঃ ঘটনাটা সত্যি গল্প অনুকরনে লেখা।তাদের শেষ পরিনতি কি হয়েছিল জানা নেই । হয়ত বিশেষের ভালবাসা জয়ী হয়েছিল অথবা বুশরাহের বিএফ ফিরে এসেছিল এবং বুশরাহ তার কাছে ফিরে গিয়েছিল অথবা তারা দুইজন হয়ত সারাজীবন ফ্রেন্ড হয়েই কাটিয়ে দিয়েছিল । যাই হয়ে, বিশেষ একদিক দিয়ে জয়ী। সে চেষ্টা এবং অধ্যাবসায় দিয়ে তার ভালবাসার প্রমান রেখে যেতে পেরেছে!